৬০তম বিয়ে করে ধরা খেলেন কুমিল্লার সাগর। নতুন নতুন বিয়ে করতে নিজেকে কখনও সরকারি ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, ব্যবসায়ী, কখনও বিভিন্ন নামিধামি ওষুধ কোম্পানির রিপ্রেজেন্টেটিভ হিসেবে পরিচয় দিতেন সাগর।
ভূয়া নাম-ঠিকানা ব্যবহার করে একে একে ৬০টি বিয়ে করে সে।
তবে শেষরক্ষা হয়নি বক্করের। শেষ স্ত্রীর করা মামলায় পুলিশের হাতে আটক হয়েছে সাগর(২৬) নামের ওই ব্যক্তি।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, সে এলাকায় চিটার সাগর নামে পরিচিত। ১১ বছর বয়সে সে প্রথম বিয়ে করে। দেশের বিভিন্ন জেলায় নানা ধরনের আত্মীয় পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন ব্যবসা, কোথাও রিপ্রেজেন্টেটিভ চাকরি, অবিবাহিত, বৌমারা গেছে এ সব কথা বলে বিভিন্ন ভূয়া ঠিকানা ব্যবহার করে ২৭ বছর বয়সে ৬০টি বিয়ে করেছেন এই প্রতারক।
বিয়ে করা তার পেশা হিসেবে নিয়েছিল। অসহায় মেয়েদের বিয়ে করে হাতিয়ে নিয়েছে মোটা অংকের টাকা। অবশেষে নেত্রকোনা পূর্বধলা উপজেলার ঔটি গ্রামে ৬০তম স্ত্রী ফারিয়া খাতুনের মামলায় ধরা পড়েছে এই প্রতারক।
ইসলামপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) আনছার আলী জানান, প্রতারণা করে সাগর প্রায় ৬০টি বিয়ে করেছে। সে নিজেই স্বীকার করেছে। এলাকায় সে চিটার সাগর নামে পরিচিত। পূর্বধলা থানায় স্ত্রী ফারিয়া খাতুনের মামলায় ইসলামপুর থানা পুলিশের সহায়তায় তাকে আটক করে ওই থানায় পাঠানো হয়েছে।
তিনি জানান, স্ত্রীর মামলায় শনিবার রাতে তার বাড়ি থেকে থানা পুলিশ তাকে গ্রেফতার করে।
নেত্রকোনার পূর্বধলা থানার এসআই মো. আলা উদ্দিন যুগান্তরকে জানান, খোকন নামে ফারিয়া বেগমের এক আত্মীয়ের সঙ্গে মোবাইল ফোনে প্রথম পরিচয় হয়। পরে আস্তে আস্তে তাদের সঙ্গে সম্পর্ক গভীর হলে তাদের বাড়িতে যাতায়াত করত।
সাগর পরে একদিন খোকনকে বলে আমার তো বউ নেই, বউ মারা গেছে, আমাকে আপনাদেরও এলাকায় একটা বিয়ে করিয়ে দেন। পরে মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে উভয়ের মধ্যে বিয়ে হয়।
সাগর পরে একদিন খোকনকে বলে আমার তো বউ নেই, বউ মারা গেছে, আমাকে আপনাদেরও এলাকায় একটা বিয়ে করিয়ে দেন। পরে মেয়ের অভিভাবকের সঙ্গে কথা বলে উভয়ের মধ্যে বিয়ে হয়।
কিন্তু বিয়ের কাবিননামায় শাহীন আলম ,পিতা মো. আকরাম আলী, গ্রাম কুতুবেরচর জামালপুরের বকশীগঞ্জ উপজেলার ঠিকানা ব্যবহার করে রোজিকে বিয়ে করে। তার বিয়ের স্বাক্ষীও ছিল ভুয়া। সেই থেকে ফারিয়ার বাড়িতে বসবাস করে আসছিল সাগর।
এ সময় ফারিয়ার পরিবারের কাছে যৌতুকের ২ লাখ টাকা দাবি করে। এতে ফারিয়ার পরিবার অপারগতা প্রকাশ করে। পরে চিটার সাগর কৌশলে শ্যালক রুবেলকে ওষুধ কোম্পানির চাকরি দেয়ার কথা বলে শ্বশুরের কাছ থেকে টাকা নিয়ে চম্পট দেয়।
এ ঘটনায় ফারিয়া বেগম প্রতারক বক্করের বিরুদ্ধে নেত্রকোনার পূর্বধলা থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করেন।
No comments:
Post a Comment